বনি আমিন (শশীভূষণ প্রতিনিধি)!!
পল্লী বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে চরম বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন শশীভূষণ বাসী। যখন খুশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় দায়িত্বশীলদের গাফিলতি আর খামখেয়ালিপনার কারনে এ অবস্থা চলছে। গ্রাহকদের অভিযোগ শশীভূষণ বাসীর সাথে তারা যেন তামাশা শুরু করেছে।
প্রচন্ড গরমে মানুষ অতিষ্ট, তার উপর বিদ্যুতের খামখেয়ালিপানার শিকার হয়ে মারাত্মক নাজাহাল হয়ে পড়েছে ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণের হাজার হাজার গ্রাহক। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ৫/৬ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। সম্প্রতি ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৬/৭ বার পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা যাওয়া দেখা দেয়। সামান্য বৃষ্টির পানি পড়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগেরও কোন উপায় নেই। অভিযোগ নম্বরে ফোন দিলে তা অধিক সময় ব্যস্ত দেখায়। বিদ্যুৎ বিভাগের এ উদাসীনতার কারনে শশীভূষণ বাসীর অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে বিদ্যুতের এ অবস্থায় ব্যবসা বানিজ্যে যেমন ধ্বস নেমেছে তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াও শিকেই উঠেছে। দিনের অর্ধেকের বেশী সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হলেও অন্য সময় যেমন বিকেল, সন্ধ্যা বা রাতেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট-এর হাত থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, বরাবরই বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে বৈশম্যের শিকার শশীভূষণ থানা বাসী। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক বিঘœ ঘটছে লোড শেডিং এর কারনে। ফলে অভিভাবক মহল দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে। মোটকথা অবহেলিত এই জনপদে বিদ্যুত বিভ্রাটের কারনে জনজীবন থমকে দাড়িয়েছে। গ্রাহকরা জানান, একটু জোরে বাতাশ হলে বা একটু জোরে বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়। এ নিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। ফলে অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত শশীভূষণ থানার মানুষ আধুনিকতার এই যুগে আরও এক ধাপ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে হতাশা প্রকাশ করেছে শশীভূষণ এর বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সচেতন মহল। অপরদিকে সারা বছর প্রায়ই মেইন লাইনসহ বিভিন্ন কাজের রক্ষনাবেক্ষনের অযুহাতে দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। সব মিলিয়ে শশীভূষণ এর পল্লী বিদ্যুৎ আর্শিবাদ না হয়ে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে শশীভূষণের বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করল তা সম্ভব হয়নি।