ভোলায় এভাবেই প্রতিনিয়ত চলছে ট্রাফিক সার্জনের চাঁদাবাজি
ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলায় প্রতিনিয়ত চলছে ট্রাফিক সার্জনের চাঁদাবাজি। ভোলার বাংলা স্কুলমোর,কালিনাথ রায়ের বাজার, খেয়াঘাট,মোল্লাব্রিজের ঢাল ও ইলিশা বিশ্বরোড তিন রাস্তার মোর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি চেকপোস্টের নামে চলছে চাদঁ কালেকশন। ট্রাফিক সার্জন মনিরুজ্জামান ভোলায় যোগদান করার পর থেকেই চলছে ট্রাফিক সার্জনের চাঁদাবাজি। করিম, সুমন,হারুন সহ একাধিক নসিমন ড্রাইভার জানায় তাদের কাছথেকে প্রতিমাসে গাড়ি প্রতি ৫০০ টাকা করে নেয় টাকা না দিলে গাড়ি নিয়ে আটকায় তাই তারা কোন জামেলায় না গিয়ে প্রতিমাসে টাকা দিয়ে আসছে। এছাড়াও ঢাকা, লক্ষিপুর ও চট্টগ্রাম থেকে মজুচৌধুরীর ঘাট দিয়ে ফেরিতে যে গাড়ি ভোলায় আসে এবং ভোলা থেকে মালবাহী ট্রাক সহ যে কোন গাড়ি ফেরি দিয়ে যায়। ছোট গাড়ি প্রতি ৩০০ ও বড় গাড়ি প্রতি ৫০০ টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে বিভিন্ন রসানলে পড়তে হয়। কারন বিভিন্ন জেলার মানুষ এই রাস্থাদিয়ে আসা যাওয়া করে টাকা না দিলে কাগজ পত্র ফিডনেস থাকা সত্তেও তাদেরকে আটকিয়ে রাখে সময় মত তাদের গাড়ি ফেরিতে উঠতে না পারলে আবার পড়ের ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাই অসহায় হয়ে তারা টাকা দিতে বাধ্য হয়। এব্যপারে ট্রাক ড্রাইভার কামাল,নাসির,হাসিম সহ অনেকে জানায় যে তারা যখন ফেরি ঘাটে বিরবে তার আগেই ট্রাফিক সার্জন ইলিশা বিশ্বরোড তিন রাস্তার মোর দাড়িয়ে থাকে চাঁদা কালেকশনের জন্য। যদি কেউ না দিতে চায় তাহলে কাগজ পত্র ঠিক থাকলেও বিভিন্ন রসানলে পরতে হয়,গাড়িতে অতিরিক্ত লোড এর কথা বলে গাড়ি ছাড়া যাবে না। তাই ঝামেলা না করে টাকা দিয়ে চলে যায়, ভুক্তভোগীরা জানায় এই ট্রাফিক সার্জনের হাত থেকে ঢেড বডির ঘাড়িও রক্ষা পায় না। কান্নায় জজরিত হয়ে বিল্লাল নামের এক লোক জানায় তার বাবার লাশ ঢাকা থেকে আনার পথে ইলিশা বিশ্বরোড ঢেড বডির গাড়ি থামিয়ে ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। নুরে আলম নামের এক লোক জানায় তার মোটরসাইকেল কালিনাথ বাজার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।পরে তার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা জরিমানা বাবদ দিতে বলে থানায় ফোন করে সার্জন মনিরুজ্জামান । পরে থানায় গেলে বিশ হাজার টাকা দাবি করে । এব্যপারে ট্রাফিক সার্জন মোঃমনিরুজ্জামান এর সাথে ০১৭৩০৪৮২৫৬৭ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সে এই বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।এব্যপারে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করে ও তাকে মুটোফোনে পাওয়া যায়নি।