বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর দুই কিডনীর রক্তনালীতে সফলভাবে রিং সংযোজন করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) কিডনীর রক্তনালীতে রিং সংযোজন করেন হাসপাতালের ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম সালেহ উদ্দীন। অপারেশনের পর বাবুগঞ্জ উপজেলার মাদবপাশা ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন (৫০) সুস্থ্ আছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোগী জয়লান আবেদীন দীর্ঘদিন ধরে উচ্চমাত্রার রক্তচাপে ভুগছিলেন। ওষুধ সেবন করে কিছুতেই তিনি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না। এই অবস্থায় রোগী শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম সালেহ উদ্দীন রোগীর কিডনীর এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করে দেখতে পান তার ডান কিডনীর রক্তনালী ৯০ ভাগ এবং বাম কিডনীর রক্তনালী ৯৫ ভাগ ব্লক রয়েছে। কিডনীর রক্তনালী ব্লক থাকায় উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় তিনি রোগীর দুই কিডনীর রক্তনালীতে রিং বসানো উদ্যোগ নেন।
এরপর রোগীর স্বজনরা ভাসটেক লিমিডেট কোম্পানির কাছ থেকে রিং কিনে নিয়ে আসলে বুধবার শেবাচিমের অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে রোগীর দুই কিডনীর রক্তনালীতে সফলভাবে রিং সংযোজন করা হয়। এতে রোগীর স্বজনদের দুটি রিং ক্রয়ের জন্য খরচ হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর হাসপাতালে ফি জমা দিতে হয়েছে মাত্র দুই হাজার টাকা।
ওই রোগীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, এর আগে রাজধানী ঢাকার একটি ক্লিনিক দুই কিডনীর রক্তনালীতে রিং সংযোজনের জন্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। এখানে কম খরচে রিং সংযোজন করতে পারায় উপকার হয়েছে।
অপারেশনে নের্তৃত্ব দেয়া শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম সালেহ উদ্দীন জানান, রোগী জয়নাল আবেদীন’র কিডনীর রক্তনালীতে রিং সংযোজন না করা হলে দুটি কিডনীই নষ্ট হয়ে যেতো। রোগীকে অজ্ঞান না করে ৩০ মিনিটের মধ্যে সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। বর্তমানে রোগী সুস্থ রয়েছেন।
এ সফল রিং সংযোজন টিমে ছিলেন ডা. রোহান খান, ডা. মাহফুজুর রহমান. ডা. সাইদুর রহমান, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ইনচার্জ শামিমা ইয়াসমিন, সিনিয়র স্টাফ নার্স সাদিয়া পারভিন ও সুরভী এবং একমাত্র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. গোলাম মোস্তফা।”