দৌলতখান(ভোলা)প্রতিনিধি!!
লকডাউনের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভোলার দৌলতখানে কিস্তি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্ম কর্তা মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে । গতকাল সোমবার উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়ন থেকে আখি নামের এক ঋণগ্রহীতার বাড়িতে টাকা আনতে যান তিনি। আয় রোজগার বন্ধ থাকায় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন আখি। এসময় উভয়রে মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরে কর্মকর্তা স্থান ত্যাগ করেন। এব্যাপারে আখি বেগম বলেন, সে সম্প্রতি একটি ব্যবসা দিয়েছে। পরে উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। এতে সপ্তাহে তার ৬ শ টাকা কিস্তি দিতে হয়। লকডাউনের কারণে দোকান তেমন বেশি চলছেন না। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সংসার কোন রকম খেয়ে না খেয়ে প্রতিদিন কিছু কিছু জমিয়ে সপ্তাহিক কিস্তি দেয়। লকডাউনের সময় কিস্তি বন্ধ না করলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। সকালে বাড়িতে মাঠ কর্মকর্তা হাফছা এসে জোরপূর্বক টাকা আদায় করতে চেয়েছেন। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে পল্লী বিমোচন দারিদ্র কর্মকর্তা মাহবুব আলম আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেন। উপজেলা পল্লী বিমোচন দারিদ্র কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, মাঠ কর্মী হাফছা প্রনোদনার জরিপ করতে গিয়েছে। তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা দিতে চাইলে আমরা টাকা নিবো। আমরা কাউকে চাপ—প্রয়োগ করেনি।