ষ্ট্যাফ রিপোর্টার!!
ঢাকা ১৪ আসনের সাবেক এমপি মৃত আসলামুল হক আসলামের ভাই মফিজুল হক বেবুর বেপরোয়া চাঁদাবাজী ও নানা অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ঢাকা ১৪ আসনের বেতাজ বাদশা, নাম তার মফিজুল হক বেবু, প্রয়াত সাংসদ আসলামুল হক আসলাম সাহবের সুযোগ্য বড় ভাই, অন্যদিকে সে জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক কমিশনার। কিন্তু মানুষ তাকে চিনে ভিন্ন পরিচয়ে, চাঁদাবাজি লুটবাজ, ভূমিদস্যুতাসহ নানা কায়দায় সাধারণ মানুষের ধনসম্পদ অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়া হলো তার মূল নেশা ও পেশা। প্রায় একযুগ ধরে ফুটপাত থেকে শুরু করে গাবতলী বাস টার্মিনাল, গরুর হাট, বালুঘাট এমনকি মাজারের জুতা রাখার টংঘর গুলোতে পর্যন্ত চলছে তার একচ্ছত্র আধিপত্য। কথিত আছে ভিক্ষুকেরাও নাকি রক্ষা পায়না তার চাঁদাবাজির হিংস থাবা থেকে। তার এই চাঁদাবাজির কাজে আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সার্বক্ষনিক ভাবে সহযোগী হিসেবে কাজ করে চলেছেন ঢাকা মহানগর যুবদলের ক্রিয়া সম্পাদক শহীদ এবং জসিম নামের আরেক জাতীয় পার্টি নেতা (ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে)। তাদের দাপটে আওয়ামিলীগের প্রকৃত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা আজ কোনঠাসা, ঢাকা ১৪ আসনের রাজনীতি এমন এক জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যা আর বলার মতো অবস্থানে নেই। অখ্যাত কুখ্যাতদের অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে আজ তা। এর আগেও বহুবার এসব নিয়ে লেখালেখি হয়েছে, কাজের কাজ হয়নি কিছু। যাদের দেখার কথা অদৃশ্য হাতের ইশারায় তারা মুখ ঘুরিয়ে রেখেছে অজ্ঞাত কারনে। তবে তলে তলে দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবনমান সহ সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিবেশ, এই দূর্বৃতায়নের অবসান হওয়া প্রয়োজন, সাধারণ জনতা এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। আর কতো? দেশ ও জাতীর স্বার্থে এই অসুস্থ মানসিকতার লুটপাটের খেলা বন্ধ করা জরুরী। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।