এম. আবদুর রহমান, ভোলা।
ভোলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী (সাঃ)- কে নিয়ে কু-রুচীপূর্ণ কথোপকথনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর শাখাসহ ভোলার সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভোলা জেলা পুজা উদযাপণ কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে শহরের কালিনাথ বাজার হাটখোলা জামে মসজিদ চত্বরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে বক্তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষিকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। নয়তো অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে পুরো জেলা অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তর শাখার সহসভাপতি মাওলানা তাজউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, প্র্রচার সম্পাদক মাওালানা ইউছুফ আদনান, ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বেরুল হক নাঈম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক এম ওবায়দুর রহমান, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের ভোলা জেলা সভাপতি কাজী আ. রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলনের ভোলা জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার প্রমুখ। এর আগে বুধবার রাতে ‘জয় রাম’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এড়ঁৎধহমড় নামে একটি আইডির ম্যাসেঞ্জারের কিছু কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং মুসলমানদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে বুধবার রাতেই ভোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এতে তিনি দাবি করেন, কে বা কারা তার ফেইসবুক আইডি হ্যাক করেছে। বুধবার রাত থেকে গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার সকালে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী ইসলামী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার গণমাধ্যমকে জানান, প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের কারার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।