বিশেষ প্রতিনিধি, ক্রাইম বিডি।
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তার মুছাকন্দি ৫নং ওয়ার্ডে এক দিনমজুরের স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে স্বামীকে ফঁসাতে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এলাকা ঘড়ে জানাগেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে ভোলা পৌরসভার, পৌর চরজংলা ৯নং ওয়ার্ডের সেলিমের মেয়ে আছিয়া বেগমের সাথে সদর উপজেলার বাপ্তার মুছাকান্দি ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ আলমগীর মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছুদিন উভয়ের দাম্পত্য জীবন ভালো কাটলেও পরবর্তিতে আছিয়ার বিয়ের আগের বাল্য বন্ধুর সাথে সে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। দিনমজুর বাচ্চু সংসার চালানোর জন্য কাজে বেড় হলেই আছিয়া তার মোবাইল দিয়ে পরকীয়া বন্ধু সোহাগের সাথে প্রেমের আলাপে ব্যস্ত হয়ে পরত। এমনকি আছিয়া স্বামীকে না বলে ঘর থেকে বেড় হয়ে পরকীয়া বন্ধুর সাথে বিভিন্ন যায়গায় বেড়াতে যেত বলেও প্রমান পাওয়া গেছে। এ ভাবে কিছুদিন চলতে থাকলে স্বামী বাচ্চুর চোঁখে ধরা পারে যায়, স্ত্রী আছিয়া বেগম। পরবর্তিতে এ অনৈতিক বিষয়টি নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া ঝাটি ও অবনাবন। সূত্রে আরো জনাগেছে, বাচ্চু কাজ করে সাবলম্বী হওয়ার জন্য স্ত্রীকে অতি বিশ্বাস করে প্রতিদিন তার কাছে কিছু টাকা জমা রাখত। একসময় আছিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকার মতো জমা হলে বিশ্বাস ঘাতক আছিয়া সে টাকাগুলো তার পরকীয়া বন্ধু সোহাগকে দিয়ে তার সাথে পারি জমানোর জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে। এ বিষয়টি বচ্চু প্রমাণ পেলে উভয়ে মধ্যে সম্পর্কের আরো দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় স্বামী বাচ্চু কোন উপায় অন্ত না পেয়ে আছিয়ার বাবা মা ও সমাজের গন্যমান্যদের একাধিকবার অবগত করলেও কোন প্রকার সু-ফল মেলেনি তার ভাগ্যে। এক পর্যায়ে আছিয়া তার বন্ধু ও বাবা মার পরামর্শে বাচ্চুর ঘর থেকে বেড় হয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এবার আছিয়া ও তার লোকজন বাচ্চুকে বিয়ের কাবিনের টাকা প্রদানের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করে। আছিয়া চক্ররা কোন ভাবে বাচ্চুর থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে গত ০৯-০৫-২০২১ তারিখে ভোলা দ্বায়েরা জজ আদালতে একটি নারী শিশু মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩১২/২১। পরে মামলাটি মহামান্য অদালত আমলে নিয়ে ওসি ভোলা সদর থানাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেণ। এমতাবস্থায় নির্দোষ দিনমজুর স্বামী বাচ্চু মিয়া তদন্ত সাপেক্ষে এ মামলা থেকে অব্যাহুতি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেন।