ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩৫ বছরের ভোগ দখলীয় ভিটাবাড়ী থেকে দিনমজুরকে উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতারক বড় ভাইর ছেলে মেয়েরা। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে মহামান্য অদালাত উভয় পক্ষকে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকার জন্য নির্দেশ প্রদাণ করে। এ নির্দেশের একটি কপি ভোলা সদর থানায় ও ভূমি অফিসে প্রেরণ করা হলেও মৃত কাদের মিয়ার সুন্দরী ৪ মেয়ের তয়-তদবীরের করণে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত হচ্ছে। মামলা ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, ভোলা পৌরসভার ওয়েষ্টার্ণ পড়া ৭নং ওয়ার্ডে রিজার্ভ পুকুর পাড় এলাকায় মৃত মোহাম্মদ আলী মিয়ার ছেলে (ফুটপাতে চায়ের দোকানদার) ছিদ্দিক মিয়া দিন মুজুরী করে তার আপন বড় ভাই মৃত কাদের মিয়াকে অতি বিশ্বাস করে বিভিন্ন দাগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা প্রদান করে জমি কেনার জন্য। কাদের মিয়া এ টাকা দিয়ে ওই এলাকায় ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে, তার ছোট ভাই সিদ্দিক মিয়াকে অর্ধেক জমি বুঝিয়ে দেয়। সে থেকে সিদ্দিক মিয়া ওই জমিতে ঘর-দরজা বাগান বাগীচা সৃজন করে প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছে। যে ঘরের বৈদুতিক মিটার সংযুক্ত হোল্ডিং নং-১১৬৮। বিগত দিনে ভোলা পৌরসভার ট্যাক্স, পানির বিল, বিদ্যুৎ বিলসহ সরকারী সকল হাউজ বিল নিয়মিত পরিশোধ করে এসেছে সিদ্দিক মিয়া। কিছুদিন পূর্বে সিদ্দিক মিয়ার বসত ভিটার উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে তার বড় ভাই কাদের মিয়ার ছেলে মেয়েদের। তারা বিগত দিনে কাদের ময়াকে ওই বাড়ী থেকে সমুলে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন সড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। বর্তমানে জানাগেছে, কাদের মিয়া জীবিত থাকাকালিন তার সহজ সড়ল ছোট ভাইকে ঠকিয়ে পুরো জমিটাই তার নামে রেজিষ্ট্রী করে নিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়টি জানত না সিদ্দিক মিয়া। কিছুদিন পূর্বে কাদের মিয়া সিদ্দিককে বলে দেয় ওই বাড়ী থেকে স্ব-পরিবারে বেড় হয়ে যাবার জন্য। এসব নিয়ে কাদের মিয়া চাঁপ প্রয়োগ করলে সিদ্দিক মিয়া ফের বিভিন্ন ভাবে ধার দেনা করে কাদের মিয়াকে আরো ৩৪ লাখ টাকা প্রদান করে জমির দলিল নেয়। এতেও শেষ রক্ষা হল না দিনমজুর সিদ্দিক মিয়ার। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ কাদের মিয়া সিদ্দিক মিয়ার ৩৫ বছরের ভোগ দখলীয় বাগানের সকল গাছগুলো কেটে বাগানটি আবাদ করে বসত ঘরের সামনে থেকে ওয়ালসেট ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করে। এসময় সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী হোসনেয়ারা ও বোন রহিমা বেগম বাঁধা দিতে এলে কাদের মিয়া ও তারা পরিবারের লোকজন তাদেরক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি ভূমিদস্যু, প্রতারক কাদের মিয়া। সেদিন রাতে কাদের মিয়া স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সাথে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে সিদ্দিক মিয়ার বসত ঘরের সামনে দিয়ে ইট গেথে যায়গাটি যবর দখলের কাজ শুরু করে। পরে সিদ্দিক মিয়া বিষয়টি ভোলা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামানকে আবগত করলে তার নির্দেশে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ভোলার পৌর মেয়র ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন দিনমজুর সিদ্দিক মিয়া।