ক্রাইম বিডি ডেক্স।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিবের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, বসত ঘর ভাংচুর করে তার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিব সাংবাদিকদের ক্যামারার সামনে জানান, আগামী ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন। এখানে চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন সিরাজুল ইসলাম রাকিব । শুরু থেকে তাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সড়ানোর জন্য বিভিন্ন সড়যন্ত্র ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে প্রতিদন্ধী নৌকা প্রতীকের পার্থী জসিম উদ্দিন। এমতাবস্থায় প্রার্থী সিরাজ মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে ছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে প্রার্থী জসিম উদ্দিনের বহিরাগত একদল ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রামদাও, বগীদাও হাতে নিয়ে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শিবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা সিরাজের চশমা প্রতীকের প্রায় ১৫টি অফিস ভাংচুর করে। অন্যদিকে সন্ত্রাসীরা সিরাজের ৭/৮জন কর্মী সমর্থকদের বসত ঘর বগী দাও দিয়ে কুপেয়ে তছনছ করে ঘরে থাকা নগদ টাকাও আসবাব পত্র লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের এসব কাজে বাঁধা দিতে এলে সন্ত্রাসীরা সিরাজের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী সমর্থকদের পিটিয়ে ও কুপুয়ে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মাধ্যে একজনকে অশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে বরিশাল শোবাচিমে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে।
এমতাবস্থায় বর্তমানে সকল প্রকার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা বন্ধ রেখে নিরাপত্তাহীনতা ভূগছেন প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, শিবপুর ইউনিয়নে সুষ্ট নির্বাচন হওয়ার মাতো এখনো কোনা পরিবেশ ফিরে আসেনি। তাই তিনি শিবপুর ইউনিয়নে আগামী ৫ জানুয়ারী নির্বাচনটি প্রশাসনের বিশেষ নজরদারীতে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ।
তাবে এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেণ চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন।