নিজেস্ব প্রতিবেদক, ক্রাইম বিডি।
ভোলার মেঘনা নদীতে মৎস্য অফিস, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের ভূয়া সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারণ জেলেদের সবকিছু লুটে নিচ্ছে মেঘনা পাড়ের গিরিঙ্গি বাজারের মিল বাজারের বহুল আলোচিত জলদস্যু শফিক মাঝি ও তার ছেলে ইয়াসিন মাঝি। এলাকা ঘুড়ে জানাগেছে, প্রতি বছর মা ইলিশ ধরা বন্ধের মৌসুমসহ সকল মৎস্য অভিযানে শফিক মাঝির নেতৃত্বে তার ছেলে ইয়াসিন স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ট্রলার যোগে তার পালিত জলদসুদের নিয়ে মেঘনা নদীতে নেমে পরে। এসময় মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে অসহায় সাধারণ জেলেদের কাছে নিজেকে মৎস্য অফিস, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে তাদের মাছ, নৌকা ও জাল ছিনিয়ে নিয়ে অন্য মহাজনদের কাছে বিক্রি করে শুন্য থেকে লাখোপতি হয়ে গেছে। আরো জানাগেছে, তারা অন্যায় ভাবে জেলেদের নৌকা জাল ছিনতাই করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করত। এ ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরে উপর হামলা ও মিথ্যা মামলায় জড়িত করেছে বলে অভিযোগ করে অনেক সাধারণ জেলে। ওই এলাকার হরুন মাঝি, ফারুক মাঝি, হাসেম মাঝি, রফিক মাঝি, মনির মাঝিসহ অনেকে জানান, মেঘনা নদীতে বিগত দিনের অভিযানগুলোতে শফিক মাঝি ও ইয়াসিন প্রশাসনের সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রায় দুই শাতাধিক নিরিহ জেলেদের জাল, মাছ ও নৌকা লুট করে তাদেরকে পথের ফরিক বানিয়ে দিয়েছে। যার বর্তমান মূল্য হবে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা। এটা সম্পূর্ণ জলদস্যুতা। এক সময়ের এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শফিক মাঝি ও তার ছেলের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তারা প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে প্রতিবার অভিযানের সময় অন্যায় ভাবে আমাদের জাল, মাছ, নৌকাসহ সব কিছু লুটে নিচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে শফিক ও তার ছেলে ইয়াসিন মাঝির পালিত ক্যাডার বাহিনী আমাদেরকে মারধর করে জাল নিয়ে নদীতে নামতে দেয় না। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা আরো জানায়, শফি ও ইয়াসিন মাঝির নদীতে এসব অবৈধ বাণিজ্যের পাশাপাশি ইয়াবা, গাজাসহ ও জুয়ার রমরামা বাণিজ্য রয়েছে। তাদের বাপ ছেলের কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা ভোলা মৎস্য অফিস, কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, শফিক মাঝি ও তার ছেলেকে আমরা চিনি না এবং তারা কোন প্রশাসনের সোর্স নয়। বিষয়টি আমাদের আমলে রইল। ভবিষ্যতে এদেরকে নদীতে নামতে দেয়া হবে না এবং এরা সাধারণ জেলেদের উপর যে নির্যাতন চালিয়েছে এর জন্য এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।