ষ্টাফ রিপোর্টার, ক্রাইম বিডি ।
ভোলার উপ-শহর বাংলাবাজারে এক নারী মামালায় অন্যকে ফঁসাতে গিয়ে নিজেই এখন ফেঁসে গেছেন। আদালতের মামালা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মাওলানা মোস্তফা ক্রয় ও পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক হয়ে বাংলাবাজার টিটিসি সংলগ্ন দৌলতখান উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডে জয়নগর মৌজায় একটি বাড়ি নির্মান করে দীর্ঘ দিন যাবৎ শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিল। প্রায় ৮/৯ বছর পূর্বে এ জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে কথিত রুবিনা আক্তার রুমা ও তার কথিত স্বামী নাজিম উদ্দিন কাজি গংদের। এ উদ্দেশ্যে প্রায় ৮/৯ বছর পূর্বে রুবিনা মাওলানা মোস্তফার থেকে উল্লেখিত ঘরটি প্রতি মাসে ভাড়া দিবে বলে ভাড়া নেয়। একাধারে ২ বছর পর্যন্ত রুবিনা বাড়ির মালিককে ভাড়া প্রদান করলেও পরবর্তিতে সে ঘর ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে রুবিনা ও তার স্বামী স্থানীয় একটি কু-চক্রী মহলের সহযোগীতা নিয়ে মোস্তফার ভাড়াটে বাড়িটি দখল করার জন্য একটি জাল দলিল তৈরী করে। এ জাল দলিল দিয়ে একটা সময় রুবিনা ও তার স্বামী এ বাড়িটি নিজেদের বাড়ি বলে ক্ষমতা প্রয়োগ করে। ওই মুহুর্তে কোন উপায় অন্ত না পেয়ে, রুবিনার জাল দলিলের বিরুদ্ধে মাওঃ মোস্তফার ছেলে মাওঃ ইকবাল হোসেন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-০৯/২০০২১ এ মামলাটি দেয়ার কারণে রুবিনা ক্ষিপ্ত হয়ে মাওঃ ইকবালের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা নারী শিশু মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৬০/২০২১। রুবিনার দেয়া মামালাটি তদন্তের জন্য মহামান্য আদালত ওসি দৌলতখানকে নির্দেশ প্রদান কারেন। পরবর্তিতে ওসি দৌলতখান এ মামলাটির তদন্ত রিপোর্ট আদালতে প্রদান করলে মাহামান্য আদালত গত ২৫-০৮-২১ইং তারিখে উক্ত মামলা থেকে মাওঃ ইকবাল হোসেনকে অব্যাহুতি প্রদান করেন। সেই মুহুর্তে মাওঃ ইকবালের করা জাল দলিলের মামলায় আদালত রুবিনা আক্তার রুমাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজাতে পাঠান। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাগেছে, রুবিনা এলাকার একটি কু-চক্রী মহলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের বিনিময়ে, দূর থেকে উড়ে আসা রুবিনা মাওঃ ইকবালদের ঘর ভাড়া নিয়ে অন্যায় ভাবে মালিক দাবী করে এসকল আপত্তিকর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে। এ রুবিনা এলাকায় আসার পর এলাকার যুব সমাজ এখন ধ্বংসের মুখে। এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে রুবিনার অব্যাহত অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেতে গেলে, সে তাদেরকে মাওঃ ইকবালের মতো মিথ্যা মামলায় জড়াবে বলে হুমকি ধামকী অব্যাহত রেখেছে। সামান্য কিছুতে সে উত্তেজিত হয়ে ঘর থেকে লাঠি ও দা নিয়ে বেপরোয়া তান্ডব চালানোর অনেক প্রমান পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, বাংলাবাজার এলাকার স্থানীয় জনগন।