ভোলা প্রতিনিধি॥
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী ভোলা পৌরসভা নির্বাচনে পৌর চরজংলা ৯নং ওয়ার্ডের টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের প্রার্থী মাঈনুল ইসলাম নাছিমের বিরুদ্ধে নানা আভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পৌর চরজংলা ৯নং ওয়ার্ডের নৌকা প্রতীকের অফিসে দায়িত্বেরত নবীর হোসেন রাজের ছেলে রাকিব হোসেন জানায়, অসন্ন পৌর নির্বাচনে উট পাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মাইনুল ইসলাম শামীমের বর্তমানে গণজোয়ার দেখে এবং ২৮ তারিখে ৯নং ওয়ার্ডের নির্বাচনটি বানচাল করার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন সড়ন্ত্রের জাল বুনছে প্রতিপক্ষ প্রার্থী মাঈনুল ইসলাম নাছিম। নাছিমের শিবপুর ইউনিয়নের বাহিরাগত পালিত ক্যাডার বাহিনী প্রতিদিন অস্ত্রের মহড়া দিয়ে উঠ পাখি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের রিতিমত আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাছিমের নেতৃত্বে তার বিহিরাগত পালিত ক্যাডার মহিউদ্দিন, রফিক মিস্ত্রী, আবু তাহের মিস্ত্রী, নজু, আবু, রাকিম, মুজায়িক হারুন, ড্রাইভার হারুনসহ ২০/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উট পাখি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া করে। এসময় তারা উট পাখি প্রতীকের নির্বাচনী আফিসের সামনে গিয়ে হুমকী ধামকি প্রদান করে। অন্যদিকে এ চক্রের লোকেরা বিভিন্ন যায়গায় উট পাখি প্রর্থীর লাগানো পোস্টার ছিড়ে তাদের কর্মীদের প্রচার কাজে বাঁধা প্রাদান করে। এমনকি তারা উট পাখি প্রার্থীর প্রচারের গাড়ীতে বাঁধা প্রদান করে ইট-পাটকেল মাড়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে। চরচরজংলা ৯নং ওয়ার্ডের আবুল হাসেম, আবদুল মালেক, ওমর ফারুক, রুস্তুম আলী, কাঞ্চন মিস্ত্রীসহ আনেকে জানান, কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম শামীম বিগত দিনে ৯নং ওয়ার্ডের জনগনের জন্য সাধ্য মতো কাজ করেছেন, এলাকার রাস্তা ঘাট, পুল-কালভার্ট, পানি নিস্কাসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ৯নং ওয়ার্ডকে একটি মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত করেছেন। তার আমলে এলাকার সাধারণ জনগন, আওয়ামীলীগ সরকারের দেয়া বয়স্ক ভাতা, শিশু ভাতা, পুঙ্গ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সর্বধনের সহযোগীতা পেয়েছে। অন্যদিকে ৯নং ওয়ার্ডটি বর্তমানে মাদক ও ইভটেজিং মুক্ত এলাকা। কউন্সিলর শামীম বিগত দিনে এ এলাকার মানুষের নামে কোন মামলা হতে দেয়নি। তিনি যে কোন সমস্যায় ছুটে এসে উভয় পক্ষকে ডেকে স্থানীয় ভাবে সমাধান দিয়েছেন। এসব করণে দিনে দিনে কাউন্সিলর শামীমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে নির্বাচন আগ মুহুর্তে এ বিষয়গুলো সহজ ভবে মেনে নিতে পারছেনা প্রতিপক্ষ প্রার্থী নাছিম ও তার ভাই জসিম চেয়ারম্যান। শিবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের সেল্টারে তার ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী নাছিম বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এসব অবৈধ তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ জসিম নিজেই একজন অবৈধ চেয়ারম্যান ১৯৯৮ সালে ভোট কেন্দ্র দখলের জন্য জসিম চেয়ারম্যানের ঘরে বসে বোম বানাতে এসে বিস্ফোরণ ঘটে ২ সন্ত্রাসী মারা যায়। অন্যদিকে ২০১০ সালে জসিম ভোটে দাড়ানোর পর সে নির্ঘাত পরাজয় বরণ করার আশঙ্কায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মনোনয়ন পত্র ছিনতাই করার কথা এ এলাকার সাবাই জানে। তারা আরো জানায়, আগামী ২৮ তারিখের নির্বাচনে জসিম চেয়ারম্যান ও তার ভাই প্রার্থী নাছিম তাদের পালিত বহিরাগত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সহিংসতা ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে এ সস্ত্রাসী চক্রের ভয়ে উট পাখি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রার্থী মাঈনুল ইসলাম নাছিম ও জসিম চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।