ভোলা প্রতিনিধি। ক্রাইম বিডি-
ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৩‘নং ওয়ার্ডে এক চরিত্রহীন স্ত্রীর পরকীয়া বন্ধুদের নির্যাতনে দিনমজুর স্বামী বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহত স্বামী হারুনের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত শহিদ জমাদ্দারের ছেলে হারুনের সাথে পাশ্ববর্তি ৩নং ওয়ার্ডের সেরাজল হক সেরু হাওলাদারের মেয়ে লাইজু বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছুদিন উভয়ের দাম্পত্য জীবন ভালো কাটলেও পরবর্তিতে লাইজু বিয়ের আগের বাল্য বন্ধুর সাথে সে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। দিনমজুর হারুন সংসার চালানোর জন্য কাজের তাগিদে ঢাকাতে চলে অসলে লইজু তার মোবাইল দিয়ে পরকীয়া ্একাধিক বন্ধু রিয়াজ ও অন্যান্যদের সাথে প্রেমের আলাপে ব্যস্ত হয়ে পরে। এমনকি লাইজু স্বামীকে না বলে ঘর থেকে বেড় হয়ে পরকীয়া বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন যায়গায় বেড়াতে যেয়ে রাত কাটাত বলেও অভিযোগ করে স্থানীয়রা। একদিন লাইজু ও তার পরকীয়া বন্ধু রিয়াজ বোরহানউদ্দিনের এক বাসায় অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পরে। এ বিয়টি সমাজিক যোগাযোগে ভাইরাড় হলে ঢাকা থেকে জানতে পারে স্বামী হারুন। এ বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আরো দূরত্ব। এক পর্যায়ে হারুন রাগে ক্ষোভে ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে চতুর লাইজু তার পরকীয়া বন্ধুদের সাথে চক্রান্ত করে স্বামী হারুনের নামে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ মিথ্যা মালায় হারুন ঢাকা থেকে এসে বার বার আদালতে হাজিরা দিতে দিতে একটা পর্যায়ে সর্বশান্ত হয়ে পরে। পরে এ মামলা থেকে মুক্তি পেতে হারুন স্ত্রীর কথামতো তার নামে জমি লিখে ও নগদ টাকা প্রদান করার পরও স্ত্রী লাইজুর আত্মীরা হারুনের কাছ থেকে খোলা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি দিনমজুর হারুনের। লাইজু হারুনের থেকে জমি ও নগদ টাকা লুফে নিলেও মামলাটি না উঠিয়ে নিয়মিত চালাতে থাকে। গত ২০আগষ্ট ২০২১ইং তারিখ সন্ধ্যার দিকে লাইজু ও তার আত্মীয়রা হারুনকে মামলা উঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাড়ীতে ডেকে আনে। এক পর্যায়ে পূর্ব থেক প্রস্তুত থাকা লাইজুর পরকীয় বন্ধু, বাবা ও ভাই, সেরু হাওলাদার, জামাল, শিপন, কালাম হাওলাদ্রা, লোকমান, আমির ও নোমানসহ ৭/৮জনের একটি সন্ত্রাসী দল হারুনকে একটি পরিত্যাক্ত ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে রতভর অমানুষিক নির্যাতন করে। এসময় সন্ত্রাসীরা হারুনের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। পরে স্থানীয়রা হারুনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এমতাবস্থায় দিনমজুর হারুন তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা সাংবাদিকদের কোন পাত্তা দেয়নি।