ফরাজী হারুন রশিদ,দৌলতখান প্রতিনিধি!!
টাকা আত্বসাদ করে পালানোর প্রায় ৪ বছর পর ফিরে এসে পাওনাদারদের ফাঁসাতে চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝির হাট মাছঘাটে উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে। মাঝির হাট মাছ ঘাটের আড়ৎ দার ও মৎস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ করছেন শিবপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের (রত্তনপুর)কাঞ্চন ব্যাপারির ছেলে কামাল( ৫০) এ ঘাটে মাছের ব্যবসা করতো প্রথমে দুই বছর ব্যবসা করে চলে যায়। পরে ২০১০ সাল থেকে ১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ বছর ব্যবসা করে এই মাছ ঘাটে ঐ সময় বিভিন্ন আড়ৎ খেকে বাকিতে মাছ ক্রয় করে ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানের গদিতে মাছ বিক্রিকরতো সে। ব্যবসা করার সুবাধে মাঝির হাট ঘাটের ফজলু,ফিরোজ,রুবেল,সহ ১৩ জন আড়ৎদ্বার এর প্রায় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাকি রাখে সে। একই ভাবে মাছ সংরক্ষন করার কাজে ব্যবহৃত হোগলা বাবৎ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা, বড়প এর ৮৫ হাজার টাকা, কেরানির ৬৪ হাজার টাকা,মুনছুর মাঝির ৩৫ হাজার টাকা আত্বসাধ করে প্রায় ৪ বছর পালিয়ে থাকে। ঐ সময় টাতে সবার অগোছরে চরফ্যাসন সামরাজ ঘাটে ব্যবসা করে সে ঐ ঘাট থেকে আঃ মালেক এর ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্বসাধ করে একই ভাবে গা ডাকাদেয়। ঐ খান থেকে এসে বোরহানউদ্দিনের হাকিমুদ্দিন ঘাটে সবার অগোচরে ব্যবসা শুরু করে। ঐ ঘাটের মাসুদ ব্যপারির ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্বসাধ করে গা ডাকা দেয়।ধুরন্দর ঐ প্রতারকের প্রতারনার স্বিকার হয়ে অনেক ব্যবসায়ি সর্বসান্ত হয়েছে। প্রায় ৪ বছর পালিয়ে থাকার পড় মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝির হাট ব্যবসায়িদের টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো তাদের কাছে টাকা পাবে বলে বিভিন্ন যায়গায় অভিযোগ দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন যায়গায় লিফলেট ও স্থানিয় একাধিক পএিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যবসায়িদের শুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝির হাট মাছ ঘাট মৎস ব্যবসায়িরা প্রতারক কামালের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও তাদের পাওনা টাকা উদ্ধারে গত রবিবার ০৪-০৭-২১ ইং তারিখ বিকাল ৫ টায় মাছ ঘাটে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।তারা বলছেন কারো ইন্দনে মাছ ঘাট ও ব্যবসায়িদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে প্রতারক কামাল এমনটা করছে।মেদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মন্জুর আলম বলছেন কামাল প্রতারনা করে টাকা আত্বসাধ করে উল্টো পাওনাদার দের ফাঁসা চাইছে বলে আমি অভিযোগ পেয়েছি। কামাল সহ আড়ৎ দ্বার দের সাথে কথা বলে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু কামাল কোন ধরনের সহযোগিতা করছেনা। আড়ৎ দ্বার দের দাবি প্রতারক কামাল কে আইনের আওতায় এনে তাদের পাওনা টাকা উদ্ধারের প্রশাসনের সহযোগিত।