বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির একাধিক অভিযোগ পাওয়াগেছে। গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা চাচড়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রর্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান। তার সাথে নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্ধীতা করেন মোঃ আবু তাহের। নির্বাচনের দিন চাচড়া ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুড়ে দেখা গেছে, প্রায় কেন্দ্রেই আনারস প্রতীকের এজেন্ট নেই। এর করাণ হিসেবে জানাগেছে, শুরু থেকেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু তাহের তার স্থানীয় ও বহিরগত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আনারসের এজেন্টদের অস্ত্রের মুখে হুমকি দিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধাগ্রস্ত করে। অনেক এজেন্ট কৌশলে ভোট কেন্দ্রে এসে পৌছলেও তাদেরকে পেশী শক্তি খাটিয়ে হুমকি ধামকী দিয়ে কেন্দ্র থেকে বেড় করে দিয়েছে। অন্য দিকে চাচড়া ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের কর্ম-সমর্থকরা ভোট দেয়ার জন্য বাড়ী থেকে বেড় হলে তাদেকে ব্যারিক্যাট সৃষ্টি করে বাড়ীতে অবুরুদ্ধ করে রেখেছে নৌকা প্রতীকের পালিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াদ হোসেন হানান সাংবাদিকদের ক্যামারার সামনে অভিযোগ করে বলেন, আমি বিগত দিনে চেয়ারম্যান থাকাকালিন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সহযোগীতা ও আমার নিরলস কর্মদক্ষতা দিয়ে চাচড়া ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন করে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করেছি। এবারও আমার নির্বাচনী এলাকার মনুষের ভালোবাসায় শিক্ত হয়ে তাদের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। শুরু থেকে আমার প্রতিদন্ধী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী (হইব্রীড আওয়ামীলীগের সদস্য) আবু তাহের বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন বিধি লংঘন করে, অন্যায় ভাবে তার স্থানীয় ও বহিরাগত পালিত অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীদের ব্যাবহার করে আমার কর্মী সমর্থকদের হুমকী ধামকী অব্যাহত রাখে। তারা আমার ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদেরকে ২১ তারিখ ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করে। অন্যদিকে তাহেরের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার নির্বাচনী প্রচার কাজে ব্যবহারিত রিক্সা, মাইক ভাংচুর ও লিফলেট বিতরণে বাঁধা প্রদানসহ আমার সকল প্রকার প্রচার কার্যক্রমে বন্ধ করে দেয়। আমার শন্তিপূর্ণ কর্মী সমর্থকরা এসব অন্যায় কাজে বাঁধা দিতে গেলে তাহেরের সন্ত্রাসী বাহিনী এ পর্যন্ত আমার অর্ধ শতাধিক কর্মী সমর্থকদের পিটিয়ে আহত করেছে। এমনকি তাদের বাড়ী ঘরে গিয়ে হামালা, ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে। তাহের বাহিনীর সকল অপকর্ম বিরুদ্ধে আমি একাধিক বার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোন প্রকার সু-ফল মেলেনি আমার ভাগ্যে। নির্বাচনের দিন সকাল দশটার দিকে আমি কোন উপায় অন্ত না পেয়ে উক্ত অবৈধ নির্বাচনটি আমি বর্জন করতে বাধ্য হই। নির্বাচনের পরের দিকে এলাকা ঘুড়ে জানাগেছে, তাহের বাহিনীর সন্ত্রাসীরা হান্নান সমর্থক অবু জাফর, রাকিব, রিয়জ, ইসমাইল, আক্তার, কবির, মিলনসহ একাধিক কর্মীর বাড়ীতে গিয়ে তাদের ঘর দরজা ভাংচুর করে তাদের উপর হামলা চালালে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতারে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে চাচড়া ইউনিয়নের, আবদুল মোতালেব, আমির হোসেন, ওমর ফারুক, আবু বকর, রুস্তুম আলী, সাফিয়া খাতুন, আয়সা বিবি, সানজিদা আক্তারসহ একাদিক ব্যক্তি জানায়, হান্নান সাহেব চেয়ারম্যান থাকাকালিন এলাকার রাস্তাঘাট, পুল কালভার্ট, স্কুল, কলেজের উন্নয়নসহ আমারা সরকারি সকল প্রকার সুবিধা ভোগ করেছি। তিনি এলাকা থেকে মাদক, ইভটেজিং, জুয়ারী, জলদস্যু ও ভূমিদস্যুদের শক্ত হাতে দমন করেছেন। এখন আমরা তার ভোট করাতে মনে হয়ে এলাকায় আর শান্তিতে ঘুমাতে পারবো না। বর্তমানে তাহের চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী তার ভোট না করার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকি দিয়ে আসছে। তারা এখনি বলে বেড়াছে আমাদেরকে এলাকায় থাকতে দিবে না এবং আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নানা রকম হয়রানী করা হবে। তারা আরো বলে চাচড়া ইউনিয়নের যেসব জনগন আনারসের ভোট করেছে তাদেরকে ইউনয়ন পরিষদের কোন সুবিধা ভোগ করতে দেয়া হবে না। তারা আরো বলেন, হান্নান চেয়ারম্যানে ৯০ শাতাংশ সমর্থন থাকা সত্যেও ভোট জালিয়াতির মাধমে তাকে পারজিত করা হয়েছে। পুনরায় ভোটের জন্য আমারা সম্মিলিত এলাকাবাসী জীবন বাজি রেখে অন্দোলনে নামবো।
এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে পুনরায় নির্বাচন দাবী করেন, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াদ হোসেন হান্নান ও তার ভূক্তভোগী কর্মী সমর্থকগন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবু তাহের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
নির্বাচন কমিশনের ছবি সংযুক্ত।
ভোলা
২৩-০৬-২১