ক্রাইম বিডি ডেক্স।
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ঘুষের টাকা না দেয়ায় দুই দিন মজুরের উপর নির্মম ভাবে নির্যাতন চালিয়েছে ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ইয়াবা আজগর। আহতরা বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উত্তার দীঘলদি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দিনমজুর ছাত্তার মাঝি জমি সংক্রান্ত সমস্যায় পরে এর সমাধানের জন্য ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আজগরের কাছে যায়। আজগর ছাত্তারকে প্রস্তাব দেয়া তুমি যদি আমাকে ৬০ হাজার টাকা দিতে পারো তবে আমি তোমার কাজটা করে দিবো। দিনমজুর ছাত্তার ধার দেনা করে অনেক কষ্টে আজগরকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু বেঈমান, ঘাতক আজগর ছাত্তারের কোন কাজ না করে তার বিরোধিয় শক্রদের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হাত মিলিয়ে ছাত্তারের ক্ষতি করা শুরু করে। এমতাবস্থায় ছত্তার এ বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবগত করলে তেলে বেগুনে জলে ওঠে আজগর মেম্বার। গত ১৩ এপ্রিল দুপুরের দিকে আজগর তার পালিত মাদক খোর ক্যাডার বাহিনীদের সাথে নিয়ে ছাত্তারের বাড়িতে প্রবেশ করে তার ছোট ছেলে মাইনুদ্দিনকে বেদরক মারধর শুরু করে। এসময় বাবা ছাত্তার এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে আজগর মেম্বার। এতেও ক্ষান্ত হয়নি পাষন্ড ইয়াবাখোর আজগর। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা দিকে ছাত্তার ও তার বড় ছেলে সাহাবুদ্দিন একটি জানাজা নামাজ শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে (মিয়া বাড়ি সংলগ্ন) পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা আজগর মেম্বার, আলআমিন, মোকসেদ, মালেকসহ একটি সন্ত্রাসী দল প্রথমে সাহাবুদ্দিনের উপর লোহার রড ও লঠি দ্বারা নির্মম ভাবে নির্যাতন চালায়। এতে সাহাবুদ্দিনের হাত পাসহ শরীরের বিভিন্ন যায়গা ক্ষত হয়। এসময় বাবা ছাত্তার ছেলেকে ধরতে এলে সন্তাসীরা তাকেও পিটেয়ে আহত করে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানাগেছে, ইয়াবা আজগর তার মেম্বারি পদ কে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় চাঁদাবাজী, দালালি, ভূমি দখল, জুয়া, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ ও মাদক ব্যবসা করে রাম রাজত্ব কায়েক করছে। এক সময়ের বিএনপি কর্মী আজগর বর্তমানে ক্ষমাতাসিন দল ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে এলাকার নিরিহ মানুষদের দমন করে রাখছে। উল্লেখ্য ওই এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা বশিরের পার্টনার সে। বশির প্রতিবার জেলে গেলে আজগর মেম্বার টাকা পয়সা খরচ করে তদবীরের মাধ্যমে জামিন করায় তাকে। জানাগেছে, আজগরের সেল্টারের বিনিময় বশির তাকে বিনা টাকায় ইয়াবা প্রদান ও প্রতিমাসে ব্যবসায় একটি অংশ প্রদান করে আজগর মেম্বারকে। অন্যদিকে বশিরের দুই সুন্দরী স্ত্রীর (বৌ-শালি)র সাথে রয়েছে আজগরের অনৈতিক সম্পর্ক। উল্লেখিত সকল বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ, দিন মজুর ছাত্তারসহ ওই এলাকার সচেতন মহল।