এম.ডি রুবেল, বিশেষ প্রতিনিধি
ভোলায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল (ইউসিবি) ব্যাংকের গ্রাহকের একাউন্ট থেকে ডিপিএস এর টাকা উধাও হয়েছে। শহরের মহাজন পট্টিতে অবস্থিত ইউসিবি ব্যাংক ভোলা শাখার ম্যানেজারের যোগসাজসে লিনজা আক্তার নামে এক গ্রহকের একাউন্ট থেকে তার স্বাক্ষর জাল করে ডিপিএস’র জমাকৃত এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লিনজা আক্তার ভোলা পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস রোড এলাকার বাসিন্দা।
লিনজা
আক্তার অভিযোগ করে জানান, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি ভোলার শহরের
মহাজনপট্টি ইউসিবি ব্যাংকের ভোলা শাখায় প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে
পাঁচ বছর মেয়াদী একটি ডিপিএস হিসেবে খোলেন। শুরু থেকে প্রতি মাসেই তার
ডিপিএস এর একাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে যান। কিন্তু ২০২০ সালের
ডিসেম্বর মাসে সে একাউন্টে টাকা জমা দিলে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা জমা
না রেখে পরবর্তী মাসে আসতে বলে। তারপর জানুয়ারি মাসে ব্যাংকে গেলে তার
ডিপিএস হিসেব ক্লোজ হয়েছে গেছে বলে জানায় ব্যাংক কর্মকর্তারা।
পরে
লিনজা আক্তার ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে ডিপিএস ক্লোজ হওয়ার কারণ জানাতে
চাইলে সে বিভিন্ন কথা বলে তাকে ঘুরাতে থাকেন। পরবর্তীতে তাকে ব্যাংক থেকে
বলা হয় ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এবং আনোয়ার
হোসেন নামের এক ব্যাক্তি স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তার অসুস্থতার কথা বলে
স্বাক্ষর দিয়ে ডিপিএস এর জমাকৃত টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। লিনজা
আরো জানায়, আনোয়ার হোসেন ইউসিবি ব্যাংকের নয়াবাজার শাখার স্টাফ। সে আমার
স্বামী ছিলো। তার সাথে গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তালাক হয়ে যায়। আমার
ডিপিএস এর টাকা আমাকে না জানিয়ে অন্য কেউ কিভাবে উত্তোলন করতে পারে, সে
বিষয়ে আমি ম্যানেজারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন সবই সম্ভব। পরে আমি নিরুপায়
হয়ে ইউসিবি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এ
ব্যাপারে ইউসিবি ব্যাংক ভোলা শাখার ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান জানান,
লিনজা আক্তারের স্বামী আনোয়ার হোসেন একটি আবেদন ও লিনজা আক্তারের চেক বইসহ
আমাদের কাছে নিয়ে আসে। এবং সে বলে লিনজা আক্তার অসুস্থ্য, কোনো কথা বলতে
পারে না। ফরমে লিনজা আক্তারের স্বাক্ষর ছিলো। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী
স্বাক্ষর মিলিয়ে ও রেজিস্টারে এন্ট্রি করে ডিপিএস এর টাকা লিনজার সেভিংস
একাউন্টে ট্রান্সফার করা করা হয়। এখানে প্রতারণা করলে আনোয়ার করেছে আমাদের
কোনো প্রতারণা করিনি। যদিও ব্যাংকের নিয়ম হলো কোনো একাউন্ট থেকে একাউন্ট
হোল্ডার ব্যাতীত অন্য কেউ টাকা উত্তোলন করতে আসলে আমরা তার সাথে যোগাযোগ
ব্যতীত টাকা দেই না। কিন্তু লিনজা একাউন্ট খোলার সময় যে নাম্বরটি দিয়েছে
সেটিও তার স্বামী আনোয়ারের কাছে। এবং সে বলতেছে লিনজা অসুস্থ কথা বলতে পারে
না। বিষয়টি মানবিক হিসেবে আমরা বিবেচনা করেছি।
তিনি
আরো জানান, লিনজা আক্তার এখন এসে আমাদের কাছে এস প্রতারণার অভিযোগ করেছেন।
আমরা আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।