ক্রাইম বিডি ডেক্স!! ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ফুল কাচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্ধকৃত সোলার লাইটের ব্যাটারী বিক্রি করে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক মোঃ সুফিয়ান। তাছড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অনিয়মের নানা অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, গত ০৯/১০ অর্থ বছরে ভোলা এলজিইডি থেকে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ফুল কাচিয়া সাইক্লোন সেল্টারে ১৬ বাতি ওয়ালা ২টি সোলার প্যানেল বরাদ্দ হয়। উক্ত সোলারের ব্যাটারী ২টি গত কোভিড-১৯ এর আক্রমনের পূর্বে ব্যাটারী ২টি প্রধান শিক্ষক সুফিয়ান বিক্রি করে দেয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোলার প্যানেলের ব্যাটারী ২টি স্কুলে নাই। সূত্রে আরো জানাগেছে, ব্যাটারী ২টি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে, ৩৬নং ফুল কাচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়ান। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক সুফিয়ানের যোগসাজসে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা জয়তুন নেছা বিদ্যালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন না করে শিক্ষক হাজিরা খাতায় ২৯দিন যাবৎ ভূয়া স্বাক্ষর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে খতিয়ে দেখা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়তুন নেছা, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বোরহানউদ্দিন এর কাছ থেকে দরখাস্তের মাধ্যমে গত ৩০ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখ হতে ১৩সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত ১৫দিনের ছুটি নেয়। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর তার ছুটি শেষ হয়ে গলেও সে বিদ্যালয়ে হাজির হয় ২১ সেপ্টেম্বর। এসময় সে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তার ছুটির দরখাস্তটি ছিড়ে ১সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষক হাজিরা খাতায় ভূয়া স্বাক্ষর করে। আরো দেখা গেছে, এখানে জয়তুনের হাজিরা খাতায় ২১ আগষ্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ভূয়া স্বাক্ষর করে প্রধান শিক্ষকের ফুফাতো বোন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসিমা আক্তার। কথায় বলে একটা মিথ্যা কথা বললে তা ঢাকতে ১০টা মিথ্যা কথা বলা লাগে। জয়তুন ১৫ দিন ছুটি নিয়ে থাকলেও সে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলো ২৯ দিন। অন্যদিকে সে প্রধান শিক্ষকের ছত্রছায়ায় থেকে শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উল্লেখিত নাটকগুলো করেছে। প্রমান পাওয়া গেছে, এ নাটকের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক সুফিয়ান। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ, কাচিয়া ইউনিয়নের সচেতন মহল।