ঝালকাঠি ০২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুব লীগের সহ-সম্পাদক মো. মিল্লাত হোসেন ঝালকাঠি, নলছিটি ও বরিশালের কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে বরিশালের একটি রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে মিল্লাত হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কিভাবে বর্তমান সংসদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে মোকাবেলা করে মনোনয়ন হাসিল করতে পারেন এবং সাংবাদিকরা তাকে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে ঝালকাঠির সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সকালের খবরের অলোক সাহা, সময় টিভির পলাশ রায়, প্রথম আলোর মাহামুদুর রহমান পারভেজ, চ্যানেল ২৪ এর জিয়াউল হাসান পলাশ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের এসএম রেজাউল করিম ও মোহনা টিভির রুহুল আমিন রুবেল।
অলোক সাহা এবং রহুল আমিন রুবেল বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করলেও জিয়াউল হাসান পলাশ বৈঠকে উপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক জানান, নলছিটির কুলকাঠির সন্তান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমাজ সংবাদের সম্পাদক মো. মিল্লাত হোসেন বৈঠকে বলেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে বেশ কয়েকজন যুব লীগ নেতাকে মনোনয়ন দেবেন বলে কেন্দ্রীয় যুব লীগকে আশ্বস্ত করেছেন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতারা মিল্লাত হোসেনকে এলাকায় গিয়ে (ঝালকাঠি-নলছিটি) জনগণের খোঁজ খবর নিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তাই মিল্লাত হোসেন প্রথমেই তার সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে এমন কয়েকজন সাংবাদিককে গত রোববার সন্ধ্যায় ডেকে নেন বরিশাল হাতেম আলী কলেজ মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে।
ঝালকাঠি- নলছিটি বাদ দিয়ে বরিশালে কেন এ বৈঠক এ প্রশ্নের জবাবে মিল্লাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন ‘আসলে আমির হোসেন আমুর মত একজন বড় নেতার বিপরীতে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে ঝালকাঠিতে কোন সভা সমাবেশ করতে সাহস পাচ্ছি না, তাই বরিশালে বৈঠক করছি।’
আগামীতে জেলার সকল সাংবাদিকদের নিয়ে বৈঠক করবো। বৈঠকের বিষয়টি গোপন রাখার চেস্টা করা হলেও অংশগ্রহণকারী একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে বৈঠকের ছবি প্রকাশ হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় অবস্থানকারী নলছিটির একজন সাংবাদিকের ফেস বুক আইডিতে বৈঠকের ছবি ভাইরাল হয়।
বৈঠকৈর ছবি প্রকাশের পরই বিষয়টি নিয়ে ঝালকাঠি শহরে ব্যাপক আলোচনা হয়। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল “তাহলে ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লড়াইয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর একজন প্রতিদ্বন্দ্বি পাওয়া গেল।”