বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ববির ৪টি সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষকরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ববির ৪টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দও এই আন্দোলনে যোগ দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, পূর্বের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল, সেশনজট কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ, অনার্সে সকল কৃতকার্যদের মাস্টার্সে ভর্তি সুযোগ করা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুনরায় বৃত্তির ব্যবস্থা চালু, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও ক্যাফেটেরিয়া ১ মাসের মধ্যে চালু, হলের বাৎসরিক আবাসিক ফি কমানো, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপসনালয় স্থাপন, সেমিস্টারসহ বিভিন্ন ফি কমানোসহ ২২ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। দাবি মানা না হলে ভিসি অপসারণের এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, ববি ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা না রাখায় গত সপ্তাহ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ৭টি সংগঠনের উদ্যোগে নগরীতে আন্দোলন শুরু হয়। এ জন্য গঠন করায় ববির ভিসি অপসারণ আন্দোলন পরিষদ। ওই পরিষদের ব্যানারে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।