ক্রাইম বিডি ডেক্স
৮ বছরেও বোরহানউদ্দিনের বাটামারার দিন মজুর ছালামত মৃধা হত্যার বিচার পায়নি তার পরিবার। খরচ দিয়ে এ মামলাটি চালাতে গিয়ে স্বামীর বসত ভিটা বিক্রি করে এখন বিভিন্ন যায়গায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে ছালামতের স্ত্রী মজুফা বেগম। মালাটি টাকার জন্য চরকার মত্ োঘুড়াচ্ছে ভোলার এক পিপি। মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বোরহানউদ্দন উপজেলার বড় মানিকা, বাটামারা ৭নং ওয়ার্ডের মৃত দাইমুদ্দিন মৃধার ছেলে ছালামত মৃধা কোরআন শরীফ ও বই বাঁধাইর কাজ করে সংসার চালাতো। পাশের বাড়ির ইয়াকুব আলী গংদের সাথে ছালামত মৃধার পূর্ব শত্রুতা চলছিল। গত ২৪/০৭/২০১৪ইং তারিখ সকাল সারে ৬টার দিকে ছালামত তার বাড়ির পাশের ইয়াকুব আলীর বাড়ির দরজার টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এসময় পানি আনা নিয়ে বাক বিতন্ড হয় ইয়াকুব আলীর ছেলে বাহাউদ্দিনের সাথে। এর রেশ ধরে বাহাউদ্দিনের ভাই নাছির উদ্দিন ঘর থেকে ধারালো একটি ধামা বের করে দৌড়ে এসে ছালামতের মাথায় কোপ দেয়। এসময় ছালামত মাটিতে পরে গেলে বাহাউদ্দিন, ফরিদ, ইয়াকুব আলী, কুলসুম, লিটন তাকে দা ও লোহার রড দিয়ে নির্মম ভাবে নির্যাতন চালায়। পরে ভোলা সদর হাসপাতালে অনার পর তার মৃত্যু হয় এ ঘটনায় ছালামতের ছেলে জাহাঙ্গীর মৃধা বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মমলা দায়ের করে। এ মমলায় ৬জন আসামীর ৫জন বিভিন্ন মেয়াদে জেল খাটলেও ১নং আসামী (যে ছালামতের মাথায় প্রথম কোপ দেয়) রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত আটক করতে পারেনি তাকে। জানাগেছে ১নং আসামী নাছির উদ্দিন ৮বছর যাবৎ ছদ্ম বেশে দেশের বিভিন্ন যায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সূত্রে জানাগেছে, বর্তমানে মামলাটি বিচার ফাইলে এসেছে। কিন্তু পিপি আসামীদের স্বাস্থির চেষ্টা ন্ াকরে এ হত্যা মমলার আসামীদের সাথে মোটা অংকের টাকার বিক্রি হয়ে তাদেরকে বাচাঁনোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্য দিকে পিপি বাদী পক্ষকে পারামর্শ দিচ্ছি ৩ লাখ টাকা নিয়ে এ হত্যা মমলাটি তুলে নেয়ার জন্য। মামলার বাদী পক্ষ আরো জানায়, এ মামলা চালাতে গিয়ে আমরা জমি ও বসত ভিটা বিক্রি করে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা শেষ করেছি। এখন প্রতি তারিখে পিপিকে মোটা অংকের টাকা দিতে পারিনা বলে সে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অন্যদিকে প্রায় তারিখেই পিপি বাদীকে আদালতে হাজির না করিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। তারা আরো জানায়, আমরা মূর্খ-সুখ্য দিনমজুর গরীব মানুষ। মনে হয় পিপি অসামীদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে যে কোন কৌশলে তাদেরকে খালাস করে দিবে। তাই এ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহতের স্ত্রী মজুফা খাতুন ও বোরহানউদ্দিনের সচেতন মহল।