জসিম রানা, ভোলা ।
ভোলার দৌলতখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নাই তবে নৌকার এ মাঝিকে জনগন আর চায় না। এমন মন্তব্য করেছেন ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে আনারস মার্কা প্রার্থী নাজমুল হাসান বাচ্চু। তিনি প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকেলে দক্ষিণ জনয়গর ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচী উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন। আগামী ১১ নভেম্বর ভোলার দৌলখানের ৭টি ইউনিয়নে নির্বচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে নাজমুল হাসান বাচ্চু নির্বাচনী উঠান বৈঠকে মানুষের ঢল নেমেছে। প্রতি দিনের মতো তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৩ ও ৬নং ওয়ার্ডে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হাসান বাচ্চু বলেন, বিগত পর পর দুইবার আলমগীর চেয়ারম্যান ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু তিনি একমাত্র নিজের আখের গোছানো ছাড়া ইউনিয়ন বাসীর জন্য কিছুই করেননি। এলাকার গরীব দুঃখিদের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিশু ভাতা, জেলে ভাতা, পঙ্গু ভাতাসহ নানান বরাদ্ধ তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল জালিয়াতি করে নিজে আত্মসাত করেছেন। এলাকায় এমন একাধিক প্রমান আছে ভোটের পর থেকে জনগান তার চেহারা একবারের জন্যও দেখেনি। এলাকার সকল শালিশ বিচারে তিনি টাকার চুক্তির মাধ্যমে করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এলাকার কোন লোক তার অবাধ্য হলে তিনি তাদেরকে পালিত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নির্যাতন চালাতেন। এমনকি তার অবাধ্য লোকদের স্বাস্থি দেয়ার জন্য তিনি নিজ বাড়িতে একটি টর্চার সেল তৈরী করে রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, আয়ামীলীগ একটি সর্ব বৃহৎ সংগঠন। দেশের স্বাধীনতার পর থেকে একমাত্র আওয়ামীলীগ সরকার দেশের উন্নয়নে সর্বাধিক ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক না পেলেও আপনাদের ভালোবাসার রায় নিয়ে আনারস প্রতিকী নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার লক্ষ উদ্দেশ্য দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করা। আমি ভোলা-২আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের সহযোগীতা নিয়ে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ইউনিয়নের সকল প্রকার উন্নয়নে সর্বাধিক ভূমিকা রাখব। দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নের রূপান্তরিত করাই আমার আসল উদ্দেশ্য। এলাকার রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের সার্বিক উন্নয়নে আমি ব্যপক ভূমিকা রাখব। অন্যদিকে এলাকা থেকে আমি মাদক ইভটেজিং, জুয়া, চুরি, ডাকাতি প্রশাসনকে সাথে নিয় শক্ত হাতে দমন করব। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালিন আশা করি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এলাকায় পুলিশ ঢুকতে হবে না। ছোট-খাট সকল সমস্যা আমি ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসা করতে পারব। তিনি আরো বলেন, ১১ তারিখের নির্বাচন হবে সুষ্টু ও নিরপেক্ষ। তাই আপনারা ভোটের দিন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে আনারস মার্কাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করবেন।