জসিম রানা, ভোলা। নৌকার সাথে আমার প্রতিযোগীতা নয় আমার প্রতিযোগীতা নৌকার মাঝির সাথে এমনটি বলেছেন, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন। তিনি প্রতিদিনের মতো গতকাল ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে কুশল বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের ক্যামারার সামনে এসব কথা বলেন। আগামী ৫ জানুয়ারী ভোলা সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে কামাল হোসেন এলাকাবাসীর ভালোবাসার সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসময়ে প্রার্থী কামাল হোসেন, আরো বলেন, আমি জন্মের পর থেকে আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কোন দল করে নাই। বর্তমানে আমি ভেদুরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদে নিযুক্ত আছি। বিগত দিনে আমি আমার সাধ্য মতো এলাকাবাসীর সহযোগীতা করেছি। আমি সব সময় এলাকাবাসীর বিপদ আপদে পাশে ছিলাম। আগামী নির্বাচানে আমি চেয়ারম্যান হই বা না হই আমি এলাকবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে আছি এবং থাকবো। আগামী ৫জানুয়ারীর নির্বাচনটি যদি সুষ্ট ও নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে তবে আমি এলাকাবাসীর ভালোবাসার রায় নিয়ে বিপুল পরিমান ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব। বিগত দিনের চেয়ারম্যানগন একমাত্র নিজেদের আখের গোছানো ছাড়া ইউনিয়নবাসীর জন্য তেমন কিছুই করেননি। এলাকার গরীব দুঃখিদের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিশু ভাতা, জেলে ভাতা, পঙ্গু ভাতাসহ নানান বরাদ্ধ তারা এলাকার অসহায় মানুষদের মাঝে সম ভাবে বন্টন না করে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গুছিয়েছে। এলাকায় এমন একাধিক প্রমান আছে ভোটের পর থেকে জনগান চেয়ারম্যানদের চেহারা একবারও দেখেনি। এলাকার সকল শালিশ বিচার তারা টাকার চুক্তির মাধ্যমে করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাধারণ জনগনের কাছথেকে। তিনি আরো বলেন, আয়ামীলীগ একটি সর্ব বৃহৎ সংগঠন। দেশের স্বাধীনতার পর থেকে একমাত্র আওয়ামীলীগ সরকার দেশের উন্নয়নে সর্বাধিক ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক না পেলেও আপনাদের ভালোবাসার রায় নিয়ে আপনাদের সামানে হাজির হয়েছি। আমার লক্ষ উদ্দেশ্য ভেদুরিয়া ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করা। আমার অভিবাবক, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের সহযোগীতা নিয়ে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ইউনিয়নের সকল প্রকার উন্নয়নে সর্বাধিক ভূমিকা রাখব। ভেদুরিয়া ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নের রূপান্তরিত করাই আমার আসল উদ্দেশ্য। এলাকার রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের সার্বিক উন্নয়নে আমি ব্যপক ভূমিকা রাখব। অন্যদিকে এলাকা থেকে আমি মাদক ইভটেজিং, জুয়া, চুরি, ডাকাতি প্রশাসনকে সাথে নিয় শক্ত হাতে দমন করব। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালিন আশা করি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এলাকায় পুলিশ ঢুকতে হবে না। ছোট-খাটো সকল সমস্যা আমি ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসা করতে পারব। তিনি আরো বলেন, ৫ তারিখের নির্বাচন হবে সুষ্টু ও নিরপেক্ষ। তাই আপনারা ভোটের দিন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবেন।