এ.আজিজ রায়হান, ক্রাইম বিডি ।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ৭ শ্রমিক।ভয়াবহ স্মৃতি ধারন করে ঘটনাস্থল থেকে এলাকায় ফিরে এসেছেন ৩ শ্রমিক।গত চার দিনেও নিখোঁজ ৭ শ্রমিকের সন্ধান মেলেনি।ওই ৭ শ্রমিক অগ্নিকান্ডের দিন কারখানার চতুর্থ তলায় কাজ করছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে তাদের পরিবার। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তারা বেঁচে আছেন কিনা, তাও জানেন না পরিবারের সদস্যরা।এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারে কান্না আর চিৎকারে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। শেষ বারের মতো ছেলের কথা বারবার মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্বজনরা।কেউ সন্তান,কেউ বাবা,কেউবা আবার হারিয়েছেন ভাই। দরিদ্র পরিবারগুলো হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ।শেষ বারের মতো সন্তানকে একনজর দেখার আকুতি জানিয়েছেন তারা৷ দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি ও নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী৷রবিবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে চরফ্যাশন উপজেলার নিখোঁজ ৭ শ্রমিকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে৷নিখোঁজ মধ্যে আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের রাকিব ও হাসনাইন, এওয়াজপুর ইউনিয়নের নোমান ও শাকিল, ওমরপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিন ও শামিম, চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের রাকিব রয়েছে৷ফায়ার সার্ভিসের ততপরতায় জীবিত ফিরে এসেছেন এওয়াজপুর ইউনিয়নের রাসেল, ফয়সাল ও ইউসুফ নামের ৩ শ্রমিক৷
সরেজমিনে জানা যায়, হতদরিদ্র পরিবারের এসকল সন্তানেরা নিজের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি ও পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, এওয়াজপুর ইউনিয়নের মোতালেব এর হাত ধরে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ কারখানায়৷ অর্থের পরিবর্তে নিজের সন্তানের লাশ পেতে বাবা-মা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মর্গের সামনে অপেক্ষমাণ৷