ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম জয়নগর ১নং ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের দোকান ঘরে নিজেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ৭ বছর আগে দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আওলাদ হোসেনের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে একই এলাকার ইদ্রিস জমাদ্দারের মেয়ে ফাতেমা বেগমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছু দিন উভয়ের দাম্পত্য জীবন ভালো কটলেও পরবর্তিতে ফাতেমার বাবার কাছে মোটা অংকের যৌতুকের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করে স্বামী মিজান ও তার বাবা মা। মেয়ের সুখের জন্য ফাতেমার বাবা জমি বিক্রি ও ধার-দেনা করে জামাই মিজানের দাবীকৃত যৌতুকের টাকা পরিশোধ করে। এতেও কোন প্রকার শান্তি ফিরে আসেনি ফাতেমার বিবাহিত জীবনে। কিছুদিন পূর্বে ফের মোটা অংকের যৌতুকের দাবী করে পরবিত্তুলোভি স্বামী মিজনা ও তার বাবা মা। বার বার এ আন্যায় আবদারে ফাতেমা ও তার বাবা মা রাজি না হলে গৃহবধু ফাতেমার উপর নোমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এ যৌতুকের টাকাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই স্বামী মিজান ফাতামার উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। সর্বশেষ ফাতেমা কোন উপায় অন্ত না পেয়ে এ নির্যতন থেকে রক্ষা পেতে আদালতে একটি নারী শিশু যার নং-২৪৯১৯ এবং একটি পারিবারিক যার নং-৪১৯ মামলা দায়ের করে। নারী শিশু মামলাটি বর্তমানে চলমান থাকলেও পারিবারিক মামলাটি মহামান্য আদালত আমলে নিয়ে আসামী মিজানকে স্ত্রী ফাতেমাকে ৪ লাখ টাকা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করে। এ নির্দেশ শুনার পর আসামী মিজান স্ত্রী ফাতেমা ও তার মা বাবা ভাই বোনদের উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাগোল হয়ে ওঠে। সে সড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে কি ভাবে স্ত্রীকে ৪ লাখ টাকা নাদিয়ে পারা যায়। এ উদ্দেশ্যে চতুর মিজান গত ১০ মে ২০২১ইং দিবাগত রাত ২টার দিকে ফাতেমার বাবা ও ভাইদের ফাঁসানোর জন্য পশ্চিম জয়নগর ১নং ওয়ার্ডের ওতরদ্দি রাস্তার মাথা এলাকার আলম মেম্বারের স-মিলের সামনে মিজানের একটি পরিত্যাক্ত দোকান ঘরে মিজান নিজেই আগুন লগিয়ে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ দৃশ্যটি ওই এলাকার দুজন লোক ওই মুহুর্তে দেখতে পায়। এ ব্যাপারের স্থানীয়দের মতামত চতুর মিজান ফাতেমার দায়ের করা ২টি মামলা থেকে বাঁচার জন্য এবং ফাতেমার পরিবারের সদস্যদের ফাঁসানো জন্য এ মিথ্যা নাটক করেছে। তার আরো বলে, মিজানের উদ্দেশ্য একটাই এ দোকান পোড়াকে কেন্দ্র করে মিজান ফাতেমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিবে এবং পরবর্তিতে সে বলবে, এবার আমার মামলা থেকে বাঁচতে চাইলে তোমরা আমার নামে দায়ের করা নারীশিশু ও পারিবারিক মামলা ২টি উঠাতে হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগী ফাতেমা ও তার পরিবার।