ক্রাইম বিডি ডেক্স।
ভোলার তজুমদ্দিনে মিথ্যা মামলা দিয়ে অসহায়দের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে দূর্বৃত্তরা। এলাকা ঘড়ে জানাগেছে, তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের, চর কোড়ালমারা ৮নং ওয়ার্ডের মৃত মোঃ হোসেনের তিন ছেলে, মোঃ ইলিয়াস, কারী মোঃ আবদুস সালাম ও মাওলানা আলআমিন তাদের পৈর্তৃক ও ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে তাদের এ ভোগ দখলীয় জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের মূল হোতা রহিম বক্স ফরাজীর ছেলে শামছল হকের। বিগত দিনে ভূমিদস্যু শামছল হক ইলিয়াস গংদের ভোগ দখলীয় জমি ও বাড়ী ঘর থেকে সমুলে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন সড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। কোন ভাবেই ইলিয়াস গংদের এলাকা ছাড়া করতে না পেরে, পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার জন্য একটি পথ বেছে নেয় দূর্বৃত্তরা। গত ০৮-১০-২১ইং তারেখে ইলিয়াস তার নিজেস্ব যায়গায় গরুকে ঘাষ খাওয়াতে ছিল। এসময় ঘাতক শামছল হকে তাকে বাঁধা প্রদান করে। এর জের ধরে উভেয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডের এক পর্যয় শামছল হক, রফিক, শাহিন ও বেগম এক হয়ে ইলিয়াসকে লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করে। এসময়ে ইলিয়াসের ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী সাথি বেগম ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও পেটানো শুরু করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ইলিয়াসের পরিবারের লোকজন তজুমদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। অন্যদিকে তার পরের দিন চতুর শামছল হক নাটকীয় ভাবে তার সুস্থ নাতিনকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে একই থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করে। কিন্তু পুলিশ নিয়ম নীতি ভঙ্গ ও ন্যায় বিচার না করে শামছল হকের দিকে প্রভাবিত হয়। তারা ইলিয়াসের অভিযোগের মামলাটি গ্রহণ না করে শামছল হকের দেয়া মিথ্যা মামলাটি আমলে নেয়। পরবর্তিতে ইলিয়াসের ভাই কারী আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এবার কারী আবদুস সালাম জেলে থাকা কালিন, সন্ত্রাসী শামছল হকের লোকেরা আবদুস সালামের ১৫ হাজার টাকা দামের একটি ছাগল ও গাছের সুপারী লুট করে নিয়ে যায় । পরবর্তিতে গত ১৪-১০-২১ইং তারিখে ভুক্তভোগী ইলিয়াস বাদী হয়ে শামছল হকসহ ৪জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-সিআর-৮৪/২১। এ মামলাটি মাহামান্য আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ওসি তজুমদ্দিনকে নির্দেশ প্রদান করে। এখন কথাহলো, ইতোপর্বে ইলিয়াস আহত হয়ে তজুমদ্দিন থানায় সর্বপ্রথম অভিযোগ দাখিল করলেও পুলিশ এক অদৃশ্য ইশারায় তার মামলাটি না নিয়ে মিথ্যা মামলা নিয়েছে শামছল হকের। এখন ওসি ইলিয়াসদের আদালতের মামলাটির রিপোর্ট কতটুকু সচ্ছ ভাবে দেন, তা দেখার অপেক্ষা। এমতাবস্থায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, ভূক্তভোগী ইলিয়াস ও তার পরিবারের লোকেরা।