ক্রাইম বিডি ডেক্স ।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেলে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, তজুমদ্দিনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর মোজাম্মেলের ৬নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে ছালাউদ্দিন ওই এলাকায় ধান কেনা বেচার ব্যবসা ও পুকুরে মাছ চাষ করে ব্যবসায়ীক ভাবে লাভবান হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে তার ব্যবসার উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে ওই এলাকার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্রের মূল হোতা অজিউল্যাহ মাঝির ছেলে হান্নান ও তার সহযোগী রাহাত হাওলাদারের। বিগত দিনে হান্নান ও তার পালিত ক্যাডার বাহিনী ব্যবসায়ী ছালাউদ্দিনকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন সড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। এক পর্যায়ে হান্নান ও রাহাত ছালাউদ্দিনের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তারা ছালাউদ্দিনকে ছাপ বলে দেয় এ এলাকায় ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে নিয়মিত চাঁদা দিয়েই ব্যবসা করতে হবে। অন্যথায় তারা ছালাউদ্দিনকে এলাকা ছাড়ার ব্যবস্থা করবে। এ বিষয়টি ব্যবসায়ী ছালাউদ্দিন এলাকার কয়েকজন গন্যমান্যদের অবগত করে এবং থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নেয়। এ খবরটি জানতে পারে সন্ত্রাসী হান্নান ও রাহাত হাওলাদার। গত ১১ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত সারে ১২টার দিকে হান্নান ও রাহাত হালাদার একটি আননোন নাম্বার দিয়ে ছালাউদ্দিনকে ফোন করে। এসময় সে ব্যক্তি ছালাউদ্দিনকে ফোন করে বলে, তার ঘেরের পুকুর থেকে কারা যেন মাছ চুরি করতেছে। ছালাউদ্দিন এ খবর পেয়ে ছুটে যায় তার মাছ চাষের ঘেরে। এ সময় পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা হান্নান ও রাহাত হাওলাদারের নেতৃত্বে অজ্ঞত একদল সন্ত্রাসী ছালাউদ্দিনকে পেছন থেকে গামছা পেচিয়ে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তারা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদরক মার ধর করে। এসময় সন্ত্রাসীরা ছালাউদ্দিনের পকেটে থাক নগদ টাকা ও স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয় বলে সে দাবী করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ছালাউদ্দিন অচেতন হয়ে মাটিতে পরে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে মৃত মনে করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত ডাক্তার ছালাউদ্দিনের অবস্থার অবনতী দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে অশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাগেছে, এক সময়ের বিএনপির কর্মী হান্নান ও রাহাত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে এলাকায় রাম-রাজত্ব কায়েম করার জন্য কিছু দিন পূর্বে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছে। তাদেরকে নেপথ্যে বসে সেল্টার দিচ্ছে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কিরণ। বর্তমানে তারা চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ভূমি দখল, চাঁদাবাজী, ধর্ষণ ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে তারা চর মোজাম্মেলের সরকারি অবাসনের বেশকিছু জমি যবর দখল করে আছে। আর বর্তমানে আবাসনে কোন লোক যদি তাদেরকে নিয়মিত চাঁদা না দেয় তেবে তাদেরকে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে এলাকা ছড়া করছে এ দুই চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেন চর মোজাম্মেলের সচেতন মহল।