ভোলা প্রতিনিধি!!
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার চরফ্যাশনে ৪২ বছরের ভোগ দখলীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করে যবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি সঙ্গবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র। এব্যাপারে ভূক্তভোগীদের পক্ষ থেকে স্থানীয় দক্ষিণ আইচা থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। থানার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন গংরা চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা ৩৪নং তৌজি ভূক্ত, ১১৮নং জেএল, মধ্য দিয়ারা ২২০ নং খতিয়ানের দাগ নং ১৩৩০/১৩৩২ তিন একর, যার মধ্যে খরিদ সূত্রে দুই একর ও মোঃ নুরুজ্জামান খরদি সূত্রে এক একর জমির মলিক হয়ে, দীর্ঘ ৪২ বছর যাবৎ, ভোগ দখল করে আসছে। কয়েক বছর আগে এ জমির উপর লোলপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের মূল হোতা, মৃত মোঃ আলীখার পূত্র মোঃ ইসমাইল খা গংদের। বিগত দিনে এ ভূমিদস্যু চক্রের লোকেরা জমির কাগজপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরী করে ভূক্তোভূগী আমির হোসেন গংদের ভোগদখলীয় জমি হতে সমূলে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। এ বিষয়টি আমির হোসেন গংরা বুঝতে পেরে সুবিচারের দাবীতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। দেওয়ানী মামলা নং- ১/২৩। এ মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। গত ০৭-০৩-২০১৯ইং তারিখে মহামান্য অদালত ওই জমির উপর একটি নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন। কিন্তু আদালতের এ নিষেধাজ্ঞার আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দিখিয়ে ভূমিদস্যু ইসমাইল খা ও তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী গত ০৪/০৩/২০২৩ ইং তারিখে ইসমাইলখার নেতৃত্বে কাদির, জাকির, জামাল, মনোয়ারা, জান্নাত, রাবেয়া, রাহিমা ও নুরনাহারসহ একটি সঙ্গবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র আমির হোসেন গংগের জমিতে জোড়পূর্বক অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে একটি ঘর উত্তোলন করে। আমির হোসেন গংরা এ খবর পয়ে ওই জমিতে প্রবেশ করলে ভূমিদস্যুরা তাকে লাঠিদিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। উল্লেখ্য স্থানীয় সুত্রে আরো জানাগেছে, ইসমাইল গংরা এ জমিটি অবৈধ ভাবে দখল কারার জন্য, টাকার চুক্তিতে তাদের পক্ষে নেয় চর মানিকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রফিক মিয়া ও তার ছেলে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সবুজ মেম্বারসহ একটি প্রভাবশালী চক্রকে। জানাগেছে, ভুক্তোভোগী আমির গংরা এ ব্যাপারে দক্ষিণ আইচা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ ইসমাইল গংদের বলে এ অবৈধ ঘরটি সরিয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু ভূমি খেকো ইসমাইল রফিক ও তার ছেলে সবুজ মেম্বারের সেল্টারে এখন পর্যন্ত তাদের জোড় পূর্বক উত্তোলনকৃত ঘরটি সরিয়ে নেয়নি। অন্যদিকে জমির প্রকৃত মলিক আমিরহোসেন গংদের ওই জমিতে না যাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকী-ধামকি অব্যাহত রেখেছে, ইসমাইল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ব্যাপারে চর মানিকা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার সাংবাদিকদের ক্যামারার সামনে জানান, ভূমিদস্যু ইসমাইল ওই এলাকার একটি কু-চক্রি মহলের সেল্টারে নিরিহ আমির হোসেন গংদের জমিটি জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমি উক্ত জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছি, আমির হোসেন গংদের কাগজপত্র সঠিক এবং ইসমাইল গংদের কাগজপত্রের কোন প্রকার ভিত্তি নাই। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ, ভূক্তোভূগী আমির হোসেন গং ও ওই এলাকার সচেতন মহল।