পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পিকনিকে গিয়ে বরিশাল শহরের বাসিন্দা বিউটিশিয়ান মিতা মজুমদারের (৩০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বরিশাল নগরীর বৈদ্যপাড়া এলাকার পেয়ারা মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া ধর্মদাস মজুমদারের মেয়ে।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় তার মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় উল্লেখ করা হলেও পরিবার দাবি করেছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আর এ অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
ওসি জানিয়েছেন, বিষয়টি হত্যা না সড়ক দুর্ঘটনা, ময়না তদন্ত না করে নিশ্চিত বলা যাবে না। প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের স্বজনরা পটুয়াখালীতে আসছেন। তাদের কাছ থেকেও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
মিতার মা সরলতা মজুমদার জানান, কাশিপুরের দিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীরের মালিকানাধীন বৈদ্যপাড়ার প্রবেশ মুখে এরিনা পার্লারে কাজ করতো মিতা। আলমগীর মিতাকে অনৈতিক কাজে জড়ানোর জন্য চাপ দিলে মিতা দু’মাস আগে পার্লারের কাজ ছেড়ে দেয়।
ঈদের একদিন পরে গত রোববার রাত ১১টায় মিতা এলাকার বাসিন্দাদের আয়োজনে পিকনিকে বান্ধবীদের সঙ্গে কুয়াকাটা যান। এ খবর পেয়ে আলমগীরও তার দুই বন্ধুকে নিয়ে কুয়াকাটায় যায়।
সোমবার সকালে কুয়াকাটায় গিয়ে মিতাকে জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায় আলমগীর।
নিহত মিতার মা আরও জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলমগীরের কাছ থেকে মিতা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার খবর পান। মিতার জন্য তাদের পটুয়াখালী হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে আলমগীর ফোন বন্ধ করে রাখেন।
ওই সময় থেকে মিতার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনা বলে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান আলমগীর।