নিরব হোসেন ভোলা!! করোনা পরিস্থিতি ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নদীতে মাছ না পরায় ভোলার ২ লাখ জেলেদের পরিবার দিশেহারা । ইলিশের ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশ না পাওয়ায় চরম সংকটের মুখে জেলেরা । এখন অভাব অনটনের মধ্যে জীবন-যাপন করছেন জেলেদের পরিবার। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো। এই ২ মাস জেলেরা অলস সময় পাড় করেছেন। ইলিশ ধরার সময় এখন নদীতে ইলিশের দেখা নেই। অথচ ভরা মৌসুমে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। দিন রাত নদীতে জাল ফেলে যে দু’চারটি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে খরচের টাকাও উঠছে না তাদের। একদিকে এনজিও অন্যদিকে মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তার উপর রয়েছে সংসারের খরচ। কোন কোন জেলে পরিবারে দু’বেলা দু’মুঠো ভাতও জুটছে না। সব মিলিয়ে জেলে পরিবারগুলো এখন চরম বিপাকে আছে। নদীতে মাছ না থাকায় তাই বাধ্য হয়ে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে হাজারো জেলে। সরকারে এই সময় জেলেদের কোন খোজঁ খবর রাখেনা। যে চাল দিয়েছে সেখানেও জেলেদের চাল কম দেয়া হচ্ছে। মেঘনা পাড়ের মাঝি সুমন বলেন, আমরা মেঘনা পাড়ের জেলে। নদীতে এখন মাছ নাই। ৪ মাসে ১৬০ কেজি চাল দেয়া কথা থাকলেও তাও পুড়াপুড়ি দেয়নি। আরেক জেলে কবির বলেন, সরকারের প্রতিটা অভিযান আমরা মানি। অভিযান শেষে নদীতে নামছি ইলিশ মাছের আশায় অথচ নদীতে মাছ নাই। এখন আমাগো পিট এখন দেয়ালে ঠেইকা গেছে। সংসারে এখন অভাব দেখা দিছে। জেলে বধূ আকলিমা জানান, পোলা-মাইয়া (ছেলে-মেয়ে) লইয়া খুব কষ্টে আছি। সরকার আমাগো দিকে চায় না আর মানুষ চায় না। চাইলে তো কিছু পাইতাম। উপকূলীয় জেলা ভোলার প্রায় দুই লক্ষ জেলে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে আছে ১ লাখ ৩৯ হাজার। মৎস বিভাগের মতে দেশের ইলিশের চাহিদার প্রায় ২৫ ভাগ ভোলা থেকেই উৎপাদন করা হয়।